আজকে আমাদের পোস্টটি সাজিযে তুলেছি ভাব সম্প্রসারণের মাধ্যমে। আজকে মূলত আলোচনা করা হয়েছে মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয় এই ভাব সম্প্রসারণটির মাধ্যমে।
জীবন সংক্ষিপ্ত হলেও পৃথিবীতে মানুষ স্মরণীয় ও বরনীয় হয়ে থাকে তার কীর্তির মাঝে। সেই কীর্তি মানুষের কর্ম সাধনার ফল। মানুষ মাত্রই জন্ম মৃত্যুর দ্বারা আবদ্ধ। পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করলে অনিবার্যভাবে একজন তাকে মৃত্যু স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সে জগত সংসার হতে নিঃশেষ হয়ে যায়। কিন্তু কীর্তিমান ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমনটি ঘটেনা।
এ পৃথিবীতে তিনি আপন কীর্তির মহিমায় লাভ করেন অমরত্ব। সাধারন মানুষের মৃত্যু হলে পৃথিবীতে কেউ তাকে স্মরণ করে না। দীর্ঘজীবী মানুষেরও মৃত্যু একসময় বিস্মৃতি হয়ে যায়, অথচ যে মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে বাঁচে, সে যদি স্বল্পায়ু পায়, তবু তার সৎ কাজ, অম্লান কীর্তি পৃথিবীর মানুষের কাছে তাকে বাঁচিয়ে রাখে।
তার মৃত্যুর শত শত বছর পরেও মানুষ তাকে স্মরণ করবেই। এ কথা বলা যায় যে মানব জীবনের প্রকৃত সার্থকতা কর্মের সাফল্যের উপর নির্ভর করে। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য একুশ বছর বয়সে মারা গেছেন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে কবে কিটসের। কিন্তু তারা অল্প বয়সে মারা গিয়েও কর্মের মধ্যে অমর হয়ে রয়েছেন। পৃথিবীর মানুষের কাছে যেন অমর, তার অমরকৃতকর্মের মাঝেই তিনি বেঁচে থাকেন।
মানুষের দেহ নশ্বর, কিন্তু কীর্তি অবিনশ্বর। তাই বয়সের মধ্যে নয়, কীর্তির মধ্যে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকে। মহাজ্ঞানী যে সকল ব্যক্তি তাদের কাজের মাধ্যমে বেঁচে আছেন, তাদের কথা স্মরণ করে আমাদেরও তাদের মত হয়ে উঠতে হবে। তাহলে আমরা মানুষ হিসেবে সফল হতে পারব এবং মৃত্যুর পরেও মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে পারবো।
আসলে মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয় এই ভাব সম্প্রসারণটি প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাব সম্প্রসারণ। তাই প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর এই ভাব সম্প্রসারণটি সুন্দরভাবে বুঝে নেওয়া দরকার। আমাদের আজকের পোস্টটি সুন্দরভাবে এ ভাব সম্প্রসারণটির মাধ্যমে সাজানো হয়েছে। এখান থেকে যে কেউ মানুষ বাঁচে তার কর্মের মাধ্যমে বয়সের মধ্যে নয় এই ভাব সম্প্রসারণটি অত্যন্ত সহজ ভাবে সংগ্রহ করে নিতে পারবে। কারণ এখানে খুবই সহজ ভাবে ভাব সম্প্রসারণটি বর্ণনা করা হয়েছে। আপনি যদি এই ভাব সম্প্রসটি খুঁজে থাকেন, তাহলে আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে আপনি এই ভাব সম্প্রসারণটি সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
পৃথিবীতে যে সকল ব্যক্তিরা স্মরণীয়- বরণী হয়ে আছেন, তারা মূলত তাদের কাজের জন্যই স্মরণীয় হয়ে আছেন। বয়সটা আসলে কোন ব্যাপার না। মানুষ কে কোন কাজ করছে এবং সেই কাজটা কতটুকু দেশের জন্য মঙ্গলকর এর মাধ্যমেই পরিচিতি লাভ করে। তাই প্রত্যেকটা মানুষের উচিত কাজের দিকে মনোযোগী হওয়া। আর কাজটা যদি সফলভাবে করতে পারে এবং তাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল সাধন করতে পারে, তাহলে সে তার কাজের মাধ্যমে আজীবন বেঁচে থাকতে পারবে। এই ভাব সম্প্রসারণ টি দ্বারা মূলত এই বিষয়টি বুঝানো হয়েছে।
একটি ভাব সম্প্রসারণ লিখে ভালো নম্বর পেতে হলে অবশ্যই সেই ভাব সম্প্রসারণটি খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে জানতে হবে। কেননা উপস্থাপন পদ্ধতি না জানলে বা খারাপ ভাবে উপস্থাপন করলে বা পরীক্ষার খাতায় সঠিকভাবে লিখতে না পারলে, যতই ভালোভাবে পড়া যাক না কেন, তা কোন উপকারে আসবে না। কেননা যত ভালই পড়া যাক না কেন, খাতা যদি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে না পারা যায়, তাহলে পরীক্ষার খাতায় ভালো নম্বর কখনো আশা করা যায় না। আর এভাবে পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট হতে পারে। তাই অবশ্যই যে কোন বিষয় লিখার প্রতি বা উপস্থাপনের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।