মানব জীবনে ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে মানব ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করা যায়। আর অতীত এবং বর্তমান সম্পর্কিত বিষয়গুলো ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জানা সম্ভব হয়। আর সেই অনুযায়ী ভবিষ্যৎ কি ধরনের হবে বা কি ধরনের কাজ করলে ভবিষ্যতে ভালো হবে এটা নির্ধারণ করা ও সহজ হয়। তাই মানব জীবনে ইতিহাস পাঠ করতে হবে।
আজকে মূলত আমাদের আর্টিকেলটিতে মানব জীবনে ইতিহাস রচনাটি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনি কি মানব জীবনে ইতিহাস এই রচনাটি খুজছেন? কিভাবে এই রচনাটি লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে তাই নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন আর এই পোস্টটা আপনার জন্য দারুণভাবে উপকারী হতে পারে বলে আশা করছি। কেননা আমরা আজকের পোস্টের মাধ্যমে রচনাটি সম্পর্কে খুবই সহজ এবং সাবলীল ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
যে কোন রচনায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য সে রচনা লেখাটি হতে হবে সুন্দর। অর্থাৎ উপস্থাপন পদ্ধতি যদি ভালো হয়, তাহলে যে কোন লেখাই ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব হয়। আবার অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে রচনার ক্ষেত্রে তেমন মনোযোগ দেয় না। আবার রচনা কে ভালোভাবে লিখেও না। এটা আসলে ঠিক না। রচনা ঠিকমতো পরীক্ষার খাতায় লিখতে না পারলে ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব হবে না। কেননা রচনায় অনেক বেশি নম্বর থাকে। তাই রচনায় বেশি নম্বরের বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের একটু বড় করে রচনা লেখা দরকার। সেই সাথে আবোলতাবোল লিখলেও নম্বর পাওয়া যায় না। যে সম্পর্কে রচনা লিখতে বলা হয় সেই সম্পর্কে মূল বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। উপস্থাপন পদ্ধতি যদি ভাল হয়, আবার হাতের লেখা ও সুন্দর এবং লেখাটাও যদি একটু বড় হয়, তাহলে তো অনেক ভালো নম্বর পাওয়া যাবে কোন সন্দেহ নাই।
ইতিহাস হলো বর্তমান ও অতীতের মধ্যে এক অন্তহীন সংলাপ। অর্থাৎ ইতিহাস পাঠ করলে অতীত কেমন ছিল, অতীতের সফলতা ব্যর্থতা ইত্যাদি বিষয় বিস্তারিত ভাবে জানা যায়। আবার বিভিন্ন রাজাদের শাসনামল বা রাজনৈতিক দিকটা কেমন ছিল এ বিষয়েও ধারণা লাভ করা যায়। তাই ইতিহাস পাঠ করা প্রয়োজন, যা মানুষের জ্ঞান বুদ্ধিকে আরো ত্বরান্বিত করে এবং ভবিষ্যৎ কাজ কেমন হবে তা আন্দাজ করতে সহায়তা করে। মূলত ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে অতীতের রাজনৈতিক বিষয়গুলো জানা যায় এমনটা নয়, ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে অতীতের সামাজিক অবস্থা, অতীতের ধর্মীয় অবস্থা, সাংস্কৃতিক অবস্থা, রাজনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি সকল অবস্থা সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা যায়, যা মানব জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একজন মানুষের সামাজিক জীব হিসেবে গড়ে তো উঠার জন্য ইতিহাস পাঠ করা প্রয়োজন। কেননা ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে কিভাবে সামাজিক জীব হিসেবে গড়ে ওঠা যায়, সামাজিকতা কি, সামাজিকীকরণ কি, আচার-আচরণ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সুন্দর ধারণা লাভ করতে পারে। আর এ সম্পর্কে ধারণা লাভ করে নিজেকেও সেই ভাবে গড়ে তুলতে পারবে। তাই এ সকল দিক বিবেচনা করে হলেও একজন মানুষের ইতিহাসের দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং ইতিহাস পাঠ করতে হবে।
তাছাড়া একটি দেশের বিভিন্ন গৌরবম ইতিহাস গুলো লিপিবদ্ধ থাকে ইতিহাস বিষয়টিতে। সে সকল ইতিহাস জানতে পারলে একজন মানুষ সে যে জাতিরই হোক না কেন, সে জাতি হিসেবে অনেক গর্ববোধ করবে। আর অতীতের বিজয় গাথা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদেরকে সেই ভাবে গড়ে তুলতে পারবে। তাছাড়া অতীতের পরাজয় গুলো থেকেও শিক্ষা নিতে পারবে এবং নিজের বাস্তব জীবনে এই কাজগুলোর বাস্তবায়ন না ঘটিয়ে নিজের জীবন আরো সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে পারবে। তাই আমাদের সকল দিক বিবেচনা করে একজন মানুষ হিসেবে অবশ্যই ইতিহাস পাঠ করতে হবে এবং ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে হবে।