আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকের পোস্টটি মূলত আলোচনা করা হয়েছে কীর্তিমানের মৃত্যু নেই এই ভাব সম্প্রসারণটি দিয়ে। সাধারণত ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ভাব সম্প্রসারণ পড়ানো হয়। আর শিক্ষার্থীরা ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা লাভ করে ক্লাস সিক্স থেকে। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভাব সম্প্রসারণ বিষয়টি বুঝতে পারেনা। আবার অনেক সময় তারা না বুঝে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে।
আর ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করার ফলে সেই মুখস্ত বিষয়গুলো যদি পরীক্ষায় না আসে, তাহলে পরীক্ষায় লিখতে পারে না। আর না লিখে ভালো রেজাল্টও করতে পারে না। তাই বিশেষ করে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভাব সম্প্রসারণটি ভালোভাবে বুঝার জন্য আজকের পোস্টটি দেওয়া হয়েছে।
জীবন সংক্ষিপ্ত হলেও পৃথিবীতে মানুষ স্মরণীয় ও বরনীয় হয়ে থাকে তার কীর্তির মাঝে। সে কীর্তি মানুষের কর্ম সাধনারই ফল। মানুষ মাত্রই জন্ম মৃত্যুর গন্ডি দ্বারা আবদ্ধ। পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করলে অনিবার্যভাবে একদিন তাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এসেই সে জগত সংসার হযতে নিঃশেষ হয়ে যায়। কিন্তু কীর্তিমান ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে না। এ পৃথিবীতে তিনি আপন কীর্তিতে লাভ করেন অমরত্ব।
সাধারণ মানুষের মৃত্যু হলে পৃথিবীতে কেউ তাকে স্মরণ করে না। দীর্ঘজীবীও সহজেই বিস্মৃত হয়। অথচ কীর্তিমান স্বল্পায়ু হলেও তার সৎ কাজ, অম্লান কীর্তি পৃথিবীর মানুষের কাছে তাকে বাঁচিয়ে রাখে। তার মৃত্যুর শত শত বছর পরেও মানুষ তাকে স্মরণ করবেই। এ কথা সন্দেহাতীতভাবে বলা যায় যে মানব জীবনের প্রকৃত সার্থকতা কর্মের সাফল্যের উপরে নির্ভরশীল। মানুষের দেহ নশ্বর কিন্তু কীর্তি হলো অবিনশ্বর। তাই বয়সের মধ্যে নয়, কীর্তি’র মাধ্যমে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকে।
কীর্তিমানের মৃত্যু নাই এই ভাব সম্প্রসারণটি প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাব সম্প্রসারণ। তবে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এ ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে খুব বেশি জানে না। তাই তারা অনেক সময় কীর্তিমানের মৃত্যু নাই এই ভাব সম্প্রসারণ অনলাইনে খুঁজে থাকে। তাই ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে মূলত আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে এই ভাব সম্প্রসারণ দিয়ে। এখান থেকে যে কেউ খুব সহজে এই ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছি।
যে ভালো কাজের মাধ্যমে সফল হয়, তার কথা সবাই সবসময় মনে রাখে। তাকে কখনো মানুষ ভূলে না। তাই কীর্তিমান ব্যক্তি যদি শারীরিকভাবে মারা যায়, তবুও তার কাজের মাধ্যমে সে মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকে আজীবন। তাই আমাদের উচিত কীর্তিমানদের মতো করে আমাদের জীবন গড়ে তোলার চেষ্টা করা।
বাংলা ব্যাকরণ অনেকেরই পছন্দের বিষয়। আর বাংলা ব্যাকরণের একটি বিশেষ টপিক হচ্ছে ভাব সম্প্রসারণ। কিন্তু দেখা যায় যে অনেকেই এই ভাব সম্প্রসারণ লিখতে পারদর্শী হয় না। আবার ভাব সম্প্রসারণ লেখে ভালো নম্বরও পায় না। তাই যারা ভাব সম্প্রসারণে অনেক ভালো নম্বর পেতে চান, আবার অনেক ভালো মাধ্যমে এই নাম্বারটা অর্জন করতে চান তাদের জন্য আজকের পোস্টটির ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে।
এখান থেকে আপনি শিখতে পারবেন কিভাবে খুবই কম সময়ের মধ্যে ভাব সম্প্রসারণ লিখে দারুন নম্বর তোলা যায়। আবার অনেকে দেখা যায় যে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে কিন্তু নির্ধারিত মুখস্ত বিষয়গুলোর মধ্যে যদি ভাব সম্প্রসারণ কমন না পড়ে তাহলে ঘাবড়ে যায়। অনেকেই আবার লিখতেও পারেনা। এর ফলে অনেকেই ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। তাই ভালো রেজাল্ট করার জন্য অবশ্যই মুখস্ত না করে বুঝে বুঝে পড়া উচিত। যেকোন বিষয় বুঝে পড়লে সেই বিষয় সম্পর্কে অনায়াসেই অনেক ভালো লিখা যায়।