আজকে আমাদের পোস্টের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কিত রচনা। এই পোস্টের মাধ্যমে খুবই সহজভাবে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কিত রচনাটি উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকের রচনাটি খুঁজেন। আপনিও কি রচনাটি খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন আর এই পোস্টটি আপনার জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। কেননা এই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এখান থেকে আপনি খুব সহজে রচনাটি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন বলে আশা করছি।
বাঙ্গালীদের জাতীয় জীবন তথা বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব অপরিসীম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একটি বলিষ্ঠ চেতনা এবং আত্মপ্রত্যয়ের অঙ্গীকার। প্রখ্যাত সাহিত্যিক ইসমাইল হোসেন সিরাজী বলেছেন, “আলোক ব্যতীত যেমন পৃথিবী জাগে না, স্রোত ব্যতীত যেমন নদী টিকে না, স্বাধীনতা ব্যতীত তেমনি জাতি কখনো বাঁচতে পারে না।” বাংলাদেশের মানুষ ও নদীর স্রোতের মতো চিরন্তন সত্যের পথ ধরে ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার কাঙ্খিত সূর্যকে। প্রায় ৩০ লাখ প্রানের বিনিময়ে এবং আড়াই লক্ষ মা-বোনদের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এ দেশবাসী যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, তাকে চির সমুন্নত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবহমানকাল ধরে প্রেরণা যোগাবে।
পাকিস্তানি শাসনামলে পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে বাঙ্গালীদের উপর শাসনের নামে শোষণ ও নির্যাতন চালায়। ফলে স্বৈরাচারী শাসকদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ১৯৭১ সালে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধ ছিল সকল শ্রেণীর বাংলাদেশী মানুষের আদর্শ এবং নতুন দিনের পথ প্রদর্শক। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজও মিশে আছে আমাদের জীবনে, আমাদের সাহিত্যে, সংগীতে, শিল্পকলা, স্থাপত্য আর ভাস্কর্য শিল্পে। একে আমরা প্রতি বছর অনুভব করি স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস ইত্যাদি স্মরণীয় দিবসের মধ্য দিয়ে বহু ত্যাগের বিনিময়ে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে অর্জিত হয়েছে আমাদের বিজয়ের দিন। সফলতা পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
মুক্তিকামী বিপ্লবী বাঙালি জনমানসে শৃংখল ভাঙার চেতনা জাগ্রত হয়। আর তারই পথ ধরে বাঙালি ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার সোনালি সূর্য। তবে এ স্বাধীনতা পূর্ণাঙ্গ নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আমাদেরকে অর্জন করতে হবে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা। তবেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা হবে গৌরবময়।
তবে স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা বেশি কঠিন। আমরা অনেক কষ্টের বিনিময়ে প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে এবং প্রায় আড়াই লক্ষ মা বোনদের সম্ভ্রম হানির বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলেরই। তাই এই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য পরিশ্রম করতে হবে। তাহলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং স্বাধীনতা রক্ষা করা ও সম্ভব হবে।
তবে অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকেই স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কথা বলে। কারণ তারা দেশের প্রতি ভালবাসাটা অনুভব করতে পারেনি। আমাদের সবার মাঝে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতে হবে এবং দেশের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতে হবে। তা না হলে দেশের প্রতি মায়া জন্মানো সম্ভব নয়। আর সেই সাথে সাথে মানবিক মূল্যবোধের দিকটিতেও নজর দিতে হবে।
একটি মানুষের তার মনুষত্ববোধকে জাগ্রত করার জন্য মানবিক মূল্যবোধের খুবই প্রয়োজন। মানবিক মূল্যবোধ না থাকলে কোনোভাবে মনুষত্ব বা মানসিক বিকাশ সাধন করা সম্ভব নয়। আর একজন মানুষও প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে না। তাই মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে এবং মানবিক বিবেচনা করে বিভিন্ন কাজ করতে হবে। মূলত এই বিষয়গুলো সুন্দরভাবে এই রচনাটি নিতে লিখতে পারলে ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব হবে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।