বৈসাবি উৎসব রচনা

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি আদিবাসী সমাজের বর্ষবরণ উৎসব হচ্ছে বৈসাবি। এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠান গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি এই উৎসবটি। ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুক, মারমাদের কাছে সংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত এই উৎসবটি। বৈসাবি নামকরণ ও করা হয়েছে এই তিনটি উৎসবের প্রথম অক্ষর নিয়ে। মূলত পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা বৈসাবি উৎসব পালন করার মাধ্যমে নানা ধরনের আনন্দ প্রকাশ করে থাকে। তাদের অনেকগুলো উৎসবের মধ্যে এই বৈসাবি উৎসব অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে। আর আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত বৈসাবি উৎসব রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

বৈসাবি উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের নিকট খুবই জনপ্রিয় একটি উৎসব। কিন্তু অনেকেই বৈসাবি উৎসব সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেনা। এজন্য অনেকেই বৈসাবি উৎসব সম্পর্কে জানতে চাই। মূলত তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে বৈসাবি উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এখান থেকে যে কেউ বৈসাবি উৎসব সম্পর্কে চমৎকার ধারণা লাভ করতে পারবে বলে আশা করছি। এজন্য যারা বৈসাবি উৎসব সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান বা বৈসাবি উৎসব রচনা লিখতে চান তারা আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বৈসাবি উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছি।

প্রত্যেকটা জাতির জীবনে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ দিন থাকে বা বিভিন্ন উৎসবের দিন থাকে। যেসব দিনগুলোতে মানুষ নানা ধরনের আনন্দ উৎসব পালন করে। প্রত্যেকটি ধর্ম বর্ণের মানুষেরই আলাদা আলাদা উৎসবের দিন রয়েছে। তেমনি ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার বাসিন্দাদের অর্থাৎ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নিজস্ব কিছু উৎসব রয়েছে, যেগুলো শুধুমাত্র সেসব ক্ষুদ্র নিগোষ্ঠীরায় পালন করে। এমনই একটি উৎসবের দিন হচ্ছে বৈসাবি উৎসব। বৈসাবি উৎসব শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোন ক্ষুদ্র নিগোষ্ঠীদের জন্য নয়। যেমন শুধুমাত্র চাকমা কিংবা মারমারা এই অনুষ্ঠানটি বা উৎসব পালন করে না। এই উৎসবটি পালন করে তিনটি আদিবাসী সমাজের মানুষ। তারা এই দিনটিতে প্রচুর আনন্দ করে এবং নানা রকমের খাবারের আয়োজন করে।

মূলত বৈসাবি উৎসব পালন করা হয় বর্ষবরণ কে কেন্দ্র করে। নতুন বছরকে উদ্বোধন করে নেয়ার জন্য অথবা বরণ করে নেওয়ার জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা বৈসাবি উৎসব পালন করে। এই দিনটিতে তারা নানারকম উৎসবে মেতে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করে থাকে। তাছাড়া তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ধারণ করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই দিনে। তাই তাদের কাছে এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন এবং অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন।

আমরা বলতে পারি যে এই বিষয়গুলো মূলত বৈসাবি উৎসবের মূল বিষয়বস্তু। যে কোন রচনার মূল বিষয়বস্তু বুঝতে হলে সেই রচনাটি সুন্দর ভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কেননা কোন বিষয় যদি মনোযোগ দিয়ে পড়া না হয় তাহলে সে বিষয়টি বুঝা যায় না। এজন্য আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে বৈসাবি উৎসব রচনাটি সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাবেন। আবার যে কোন রচনার প্রথম কাজ হচ্ছে বুঝতে হবে। বুঝতে পারলে তা অনায়াসেই লেখা যায়। এজন্য মুখস্ত না করে বুঝতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে, যে কোন বিষয় না বুঝেই মুখস্ত করে। মুখস্ত করা আসলে ঠিক নয়, কারণ মুখস্তকৃত বিদ্যা প্রশ্ন কখনো কাজে লাগে না। তাই যাদের মুখস্ত করার অভ্যাস আছে না বুঝেই, তাদের মুখস্তের অভ্যাস ছেড়ে দিয়ে বুঝে পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। আর আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি বুঝে বুঝে পড়ে থাকেন তাহলে বৈসাবি উৎসব সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন। আশা করি বৈসাবি উৎসব সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলটি অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।