আজকে আমাদের পোস্টটির আলোচ্য বিষয় হলো সুষম খাদ্য অনুচ্ছেদ। সুষম খাদ্য অনুচ্ছেদটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ। তাই অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই এই অনুচ্ছেদটি খোঁজ করেন। তাই আপনারা যেন খুব সহজেই এই অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয় জানতে পারেন, এজন্য আমাদের আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে খুবই সহজ আর সাবলীলভাবে সুষম খাদ্য অনুচ্ছেদটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে।
যে খাদ্যে খাদ্যের সকল উপাদানগুলোই পরিমিত পরিমানে থাকে, তাকে সুষম খাদ্য বলে। খাদ্যের উপাদান মূলত ছয়টি। এগুলো হলো শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিট, খনিজ লবন ও পানি। একজন মানুষের সুস্থ – স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপনের জন্য খাদ্যের সকল উপাদানগুলোই পরিমিত পরিমানে গ্রহণ করা দরকার। কেননা সুষম খাবার হতে গেলে খাদ্যের সকল উপাদানগুলোই পরিমিত পরিমানে থাকতে হবে। যদি কোন উপাদান পরিমিত পরিমানে না থাকে বা কম গ্রহণ করা হয়, তাহলে ঐ উপাদানের অভাবজনিত কারণে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তাই আমাদের বিভিন্ন ধরণের অসুখের হাত থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই সূষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
তবে সুষম খাদ্য পরিমিত পরিমানের কম হলে যেমন বিভিন্ন ধরণের অসুখ হতে পারে, তেমনিভাবে কোন উপাদান অতিরিক্ত পরিমানে খেলেও বিভিন্ন ধরণের সমস্যা হতে পারে। তাই অসুখ-বিসুখ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের ঘাতটি রাখা যেমন যাবে না, তেমনিভাবে অতিরিক্তও গ্রহণ করা যাবে না। তাই খাবার গ্রহণের প্রতি আমাদের সকলেরই বিশেষভাবে সতর্ক থাকা উচিত। কেননা সামান্যতম অসতর্কতার জন্য নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখিন হওয়া লাগতে পারে। এজন্য ছোট -বড় সবারই সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
আর যদি কোন ভিটামিন বা খাদ্য উপাদানের অভাবে বা প্রভাবে কোন ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানটি গ্রহণ করতে হবে৷ পরিমিত পরিমানের চেয়ে কম খাদ্য গ্রহণ করলে বা সময়মতো খাবার না খেলে যেমন বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যা হয়, শরীর রোগাগ্রস্থ হয়ে যায়, তেমনিভাবে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ফলেও শরীর স্থুলকার হয়ে যেতে পারে। স্থুলাকার শরীর নিয়ে কখন শান্তিতে জীবন কাটানো যায় না৷ অতিরক্ত মেদ বা ভুরির কারণেও নানা ধরণের অসুখ সহজেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে৷ তাছাড়া অতিরিক্ত ওজন হওয়ার জন্য প্রাত্যহিক জীবনের স্বাভাবিক কাজগুলোও ঠিক মতো করা যায় না৷ তাই অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করাও যাবে না।
ফল- মূল এবং শাক – সবজিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিট থাকে, যা শরীরকে ভালো রাখার জন্য অগ্রহী ভূমিকা পালন করে। আবার বিভিন্ন রোগের হাত থেকেও বাঁচায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক – সবজি এবং ফল রাখাটা জরুরি। কেননা এসব খাবারে প্রচুর পরিমানে ভিটামিট থাকে। আর শরীরকে সুস্থ রাখতে ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়াটা আবশ্যক। আর এসবের সাথে সাথে প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। প্রচুর পরিমানে পানি প্রাণ করা শরিরের জন্য খুবই উপকারি। কেননা পানি হজম শক্তি বাড়ায় আর তার সাথে সাথে দেহকে সচল রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে এই পানি। তাই যারা কম পানি প্রাণ করে, তারা নানা ধরণের সমস্যায় ভুগে।
তাই আমাদের দেহকে সবল রাখতে, কর্মক্ষম রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের সকলের খাদ্য তালিকায় সুষম খাদ্য রাখতে হবে। আর সেই সাথে সাথে প্রচুর পরিমানে পানি প্রাণ করতে হবে। তা নাহলে শরির দুর্বল হয়ে পড়বে। আর নানা ধরণের অসুখ এসে বাসা বাঁধবে। আর কোন খাদ্য উপাদানের অভাবে বা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে যদি কারো শরিরে কোন ধরণের সমস্যা হয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করি এই অনুচ্ছেদটি বুঝতে পেরেছেন। এভাবে পরিক্ষার খাতায় উপস্থাপন করতে পারলে অনেক ভালো নম্বর পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।