আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত আলোচনা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী রচনাটি। সাধারণত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে রচনা লিখতে দেওয়া হয়। আবার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সম্পর্কেও লিখতে দেওয়া হয়। তাই আপনারা যারা বিভিন্ন রচনা প্রতিযোগিতায় লেখার জন্য বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী রচনাটি খুঁজছেন, আজকের আর্টিকেলটি মূলত তাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। আবার এখান থেকে আপনি তথ্যগুলো পরীক্ষার খাতায় ও লিখতে পারেন। এ রচনাটি এভাবে পরীক্ষার খাতায় উপস্থাপন করতে পারলেও অনেক ভালো নম্বর পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। আর তাই এই রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য লাভ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়তে হবে।
দেশ মাতৃকার বরেন্দ্র সন্তান মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষকে তিনি প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। কৃষকের ঘরে তার জন্ম বলে কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষের দুঃখ বেদনা হৃদয় দিনে তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন। আর পেরেছিলেন বলেই এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য তিনি আমরণ সংগ্রাম করে গেছেন। দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গিয়েছেন।
১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ গোপালগঞ্জে জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সাহেরা খাতুন। বাল্যকালে তিনি ছিলেন প্রতিবাদী, সাহসী ও কর্মচঞ্চল। তিনি দুচোখ ভরে বাংলার প্রকৃতিকে দেখতেন। অনেক সময় তিনি নীল আকাশে উড়ে যাওয়া মুক্ত পাখির দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন। চাষীদের কঠোর পরিশ্রম, মজুরের কষ্ট দেখে তিনি হৃদয়ের গভীর এক কম্পন অনুভব করতেন। তাই তিনি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবন দশায় স্বপ্নের সোনার বাংলা পড়ে যেতে পারেননি। স্বাধীনতার মাত্র কয়েক বছর পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে খুন হন। বাঙালি জাতির ইতিহাস এই দিনটি একটি কলঙ্কময় দিন। এই কলঙ্কময় দিনটির কথা বাঙালি জাতি কখনো ভুলতে পারবেনা। আর এই দিনটিতকে তাইতো প্রতিবছর বাঙ্গালি জাতি শোক দিবস হিসেবে পালন করে। আর গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের অন্যান্য সকল সদস্যদের কে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী হলো ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পূর্তি পালনের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত একটি বার্ষিক পরিকল্পনা। সরকার ২৬শে মার্চ ২০২১ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, যা পরবর্তীতে ৩১ শে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং সমগ্র বাংলাদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে পুরো বছর ধরে নানা ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে বাঙ্গালি জাতি তাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে, তাদের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছেন। বাঙ্গালি জাতি হিসেবে আমাদের কাছে এই বিষয়টি আসলেই অত্যন্ত গৌরবের একটি বিষয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু আজকে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেই। তিনি না থেকেও বাঙালি জাতির মধ্যে বেঁচে আছেন, থাকবেন আজীবন। যতদিন বাংলাদেশ নামটি থাকবে, যতদিন বাংলাদেশের পতাকা উড়বে, ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামটিও উজ্জ্বল থাকবে। আর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসে আমাদের সকলের উচিত দৃঢ়ল্পে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগী হওয়া। আর এই বিষয়ে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা যদি সবাই মিলিতভাবে কাজ করতে পারি, তবে অবশ্যই আমরা স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারব।