ভোগে সুখ নাই, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। অথবা, ভোগে নয় ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ ভাব-সম্প্রসারণ

আজকে আমাদের এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ এই ভাব সম্প্রসারণটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে। কিভাবে পরীক্ষার খাতায় উপস্থাপন করলে এই ভাব সম্প্রসারণে আপনি ফুল নম্বর পাবেন, এটা জানতে চান ? মুখস্ত ছাড়াই খুব সহজেই এই ভাব সম্প্রসারণটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন?

এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি এ বিষয়ে জানতে পারবেন। কারণ এই পোস্টটা মূলত সাজানো হয়েছে ভোগে নয়, তাগেই প্রকৃত সুখ এ ভাব সম্প্রসারণটা নিয়ে। আপনি এখান থেকে খুব সহজে এই ভাব সম্প্রসারণটা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

একটি ভাব সম্প্রসারণ যেন-তেন ভাবে লিখলে হয় না।যেকোনো ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে হলে আপনাকে প্রথমে ওই ভাব সম্প্রসারণটির মূল বিষয়বস্তু বুঝতে হবে। কারণ মূল বিষয় বুঝতে না পারলে আপনি কখনো সেই ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে পারবেন না। আবার মূল বিষয় না বুঝে যদি আপনি মুখস্ত করেন, তাহলে সেই মুখস্ত বিষয়টি আপনি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারবেন না। কারণ আপনি মূল বিষয়টি বুঝেননি।

এজন্য আপনাকে যে কোন ভাব সম্প্রসারণ আয়ত্ত করতে হলে মুখস্ত না করে বুঝে বুঝে পড়তে হবে। আপনি যদি বুঝে বুঝে ভাব সম্প্রসারণ করেন, তাহলে আপনি খুব সহজে যে কোন ভাব সম্প্রসারণ সম্পর্কে অনেক সুন্দর ভাবে লিখতে পারবেন। আর পরীক্ষায় ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবেন। তাই যেকোন ভাব সম্প্রসারণ পড়ার সময় অবশ্যই বুঝে পড়া উচিত।

শিক্ষাক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সাবজেক্ট হলো বাংলা ব্যাকরণ। আর বাংলা ব্যাকরণেরই একটি বিশেষ টপিক হচ্ছে ভাব সম্প্রসারণ। কিন্তু দেখা যায় যে অনেকেই এই ভাব সম্প্রসারণ লিখতে পারদর্শী হয় না। আবার ভাব সম্প্রসারণ লেখে ভালো নম্বরও পায় না। তাই যারা ভাব সম্প্রসারণে অনেক ভালো নম্বর পেতে চান, আবার অনেক ভালো মাধ্যমে এই নাম্বারটা অর্জন করতে চান তাদের জন্য আজকের পোস্টটির ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে।

এখান থেকে আপনি শিখতে পারবেন কিভাবে খুবই কম সময়ের মধ্যে ভাব সম্প্রসারণ লিখে দারুন নম্বর তোলা যায়। আবার অনেকে দেখা যায় যে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে কিন্তু নির্ধারিত মুখস্ত বিষয়গুলোর মধ্যে যদি ভাব সম্প্রসারণ কমন না পড়ে তাহলে ঘাবড়ে যায়। অনেকেই আবার লিখতেও পারেনা।

বেশিরভাগ শিক্ষার্থী দেখা যায় যে ভাব সম্প্রসারণ পুরা পেজ ভর্তি করে লিখে এবং এখানে কোন পয়েন্ট বা প্যারা দেয় না। এর ফলে অনেক সময় দেখা যায় যে বেশি লিখেও ভালো নম্বর পাওয়া যায় না। কারণ একটি খাতা সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য এবং একটি লিখা পারফেক্ট ভাবে উপস্থাপন করার জন্য অবশ্যই হাতের লেখা সুন্দর হওয়াটা খুবই দরকারি। তাই আপনি চাইলেই আপনার হাতের লেখাটাকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারবেন।

আর সেই সাথে সাথে লেখাটা হতে হবে প্যারা প্যারা আকারে এবং পয়েন্ট দিলে সেই লেখাটিতে ভালো নম্বর পাওয়া যায়। আর সাধারণত ভাব সম্প্রসারণ কে তিনটি পয়েন্টের মাধ্যমে লিখতে সুন্দর হয়। যেমন প্রথমত মূলভাব, দ্বিতীয়ত ভাব সম্প্রসারণ বা সম্প্রসারিত ভাব, এবং তৃতীয়ত মন্তব্য। এভাবে পয়েন্ট করে লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যায়।

আসলে কোন বিষয়বস্তু ভোগে সুখ থাকে না, ত্যাগের মাধ্যমে বা দানের মধ্যে প্রকৃত সুখ খুঁজে পাওয়া যায়। যে ব্যক্তি এই দানের মধ্যে সুখ খুঁজে পেয়েছে, সে জানে আসলে এর মাধ্যমে কতটা সুখী হওয়া যায়। তাই সবার কথা মাথায় রেখে যেকোনো বিষয়ে শুধু ভোগ করলেই হবে না, অন্যদের অধিকারও ঠিক তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে এবং তাদের মাঝেও বিলিয়ে দিতে হবে। একে অপরকে যে কোন বিষয় বিলিয়ে দিতে পারলে, সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতে পারলেই প্রকৃত সুখ অর্জন করা সম্ভব। আর আজকের পোষ্টের মাধ্যমে মূলত এই বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।