আমাদের পাঠ্যসূচির অন্যতম একটি বিষয় হল বাংলা ব্যাকরণ। আর ব্যাকরণেরই অন্যতম একটি টপিক হচ্ছে অনুচ্ছেদ রচনা। আর আমাদের আজকের পোষ্টের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে অনুচ্ছেদ রচনা। মূলত এখানে আলোচনা করা হয়েছে আমার দেখা চারপাশের প্রকৃতি সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ। আপনি কি আমার দেখা চারপাশের প্রকৃতি এই অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? কিভাবে এই অনুচ্ছেদটি লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে, তাই নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আপনার সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। আর এই পোস্টটি আপনার জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। কারণ আমাদের আজকের পোস্টটি মূলত সাজানো হয়েছে আমার দেখা চারপাশের প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত খুবই সহজ এবং সাবলীল আলোচনার মাধ্যমে।
সাধারণত ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অনুচ্ছেদ বিষয় পড়ানো হয়। তবে শিক্ষার্থীরা অনুচ্ছেদের সাথে প্রাথমিক ধারণা লাভ করে বা পরিচয় লাভ করে ষষ্ঠ শ্রেণীতেই। কেননা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুচ্ছেদ বিষয়টি পড়ানো হয় না। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে একে একে সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীতে অনুচ্ছেদ বিষয়টি পড়ানো হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী দেখা যায় যে অনুচ্ছেদ বিষয়টি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে না। আবার কোন কোন শিক্ষার্থী অনুচ্ছেদ বিষয়টি না বুঝে মুখস্ত করে। আর মুখস্ত করার ফলে মুখস্ত বিষয়গুলোর মধ্যে থেকে যদি পরীক্ষায় কমন না আসে তাহলে সে ঘাবড়ে যায় আর লিখতে পারে না। এর ফলে পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করে।
কিন্তু অনুচ্ছেদ আসলে মুখস্থ করার বিষয় নয়। অনুচ্ছেদ বিষয়টি সম্পূর্ণ বুঝতে হবে। যে কোন অনুচ্ছেদ যদি সুন্দর ভাবে বুঝতে পারা যায়, তাহলে তা অনায়াসে সুন্দরভাবে লেখা যাবে। আর পরীক্ষাও ভালো নম্বর অর্জন করা সহজ হবে। আবার মুখস্ত বিদ্যা ও প্রয়োজনের সময় কাজে লাগে না। তাই মুখস্ত বিদ্যার অভ্যাস ছেড়ে দিতে হবে। আর যে কোন কিছু পড়ার সময় বুঝে বুঝে পড়তে হবে। তাহলে বিষয়টি দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে থেকে যাবে আর পরীক্ষায় সুন্দর ভাবে লিখে ভালো নম্বরও পাওয়া সম্ভব হবে। তাই যে সকল শিক্ষার্থীর কোন কিছু না বুঝে মুখস্ত করার অভ্যাস রয়েছে, তাদের আজ থেকে মুখস্থের অভ্যাসটি ছেড়ে দিতে হবে। আর একবার বুঝতে না পারলে বারবার পড়তে হবে। তাহলে যেকোনো বিষয়ে সুন্দরভাবে বোঝা সম্ভব হবে।
আমার দেখা চারপাশের প্রকৃতি এই সম্পর্কে লিখতে গেলে অনেক কিছুই লিখা যায়। প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে। দিন শেষে সবাই প্রকৃতির সাথে মিশে যেতেই পছন্দ করে। প্রাকৃতিক বিভিন্ন সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মানুষ দূর-দূরান্তে যেতেও দ্বিধাবোধ করে না। আমাদের চারপাশে সুজলা- সুফলা এই প্রকৃতির নানারকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। আমাদের এই বাংলাদেশে ফসলের মাঠে চারিদিকে সবুজের সমরহ, বিভিন্ন গাছে গাছে ফুল ফুটে শুভাসিত করে চারিদিকে। চারিদিকে পাখির গান, সকালে সূর্যোদয় এবং সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত যেন মনটা ভরিয়ে দেয়। প্রকৃতির কাছাকাছি গেলে যেন সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। মনটা শান্তি পাই। তাই তো মানুষ বারবার প্রকৃতির কাছে ছুটে যায় বিভিন্ন সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
সকালবেলা একটি ধানের উপর শিশির বিন্দু যখন পড়ে, তখন তা দেখতে অপরূপ সুন্দর লাগে। এই বিষয়গুলো যে অবলোকন করেছে, শুধুমাত্র সেই বুঝতে পারবে যে চারপাশে প্রকৃতি আসলে কত সুন্দর। তাই আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মাঝে মাঝে প্রকৃতির কাছাকাছি মিশে যাওয়া দরকার। কেননা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই পারে আমাদের মনকে প্রফুল্ল করতে, মনকে শান্ত করতে আর সারাদিনের ক্লান্তি ভাব দূর করতে। অনেকেই সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পরে প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পায় না। কিন্তু তাদের উচিত প্রতিদিন সুযোগ না পেলেও মাঝে মাঝে প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়া এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা, তাহলে মনটা অনেক ভালো হয়ে যাবে।